নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নয় বছরের এক শিশুসহ ১০ জনই বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। আর বাকি ১২ জনের ছয়জন কবিরহাট উপজেলার এবং ছয়জন চাটখিল উপজেলার বাসিন্দা।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আজ শনিবার সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৯ জনে। এর মধ্যে ৬১ জনই বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান নতুন করে ২২ জন শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন না মেনে হাটে-বাজারে, রাস্তাঘাটে, দোকানপাটে যাতায়াতের কারণে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
তবে জেলায় নতুন করে বিপণিবিতান ও শপিংমলসহ সব ধরনের (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া) দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা ও লকডাউন নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত থাকলে সংক্রমণ কমে আসতে পারে বলেও উল্লেখ করেন সিভিল সার্জন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার শনাক্ত হওয়া ১০ জনই চৌমুহনী পৌর এলাকার বাসিন্দা। এই ১০ জনসহ পুরো উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন। এর মধ্যে চৌমুহনী পৌর এলাকাতেই প্রায় ৪০ জন। তিনি বলেন, শুক্রবার শনাক্তদের মধ্যে নয় বছরের এক শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
অপরদিকে কবিরহাট উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে শুধুমাত্র বাটাইয়া ইউনিয়নে চারজন। আর অন্য দুই এলাকায় দুজন। বাটাইয়ায় চারজনের মধ্যে শ্বশুর (৭০) ও পুত্রবধূ (১৯) রয়েছেন।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১১৯ জন। এর মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৬১ জন, সেনবাগে একজন, চাটখিলে ১১ জন, সদরে ১৬ জন (জেনারেল হাসপাতালের ছয়জনসহ), কবিরহাটে ১২ জন, সোনাইমুড়ীতে ১১ জন, কোম্পানীগঞ্জে একজন, হাতিয়ায় পাঁচজন ও সুবর্ণচরে একজন।