নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে গৃহবধূ ফারজানা আক্তার ওরফে টুনিকে (২৭) হত্যার দায়ে আবদুর রহিম জাবেদ ওরফে আরিফ (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার নোয়াখালীর অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুর রহিম সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের শুল্লাকিয়া গ্রামের চারুবানু গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চারুবানু গ্রামের আবদুল বাসেতের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের বাড়ির সড়ক দিয়ে চলাচল নিয়ে আসামি আবদুর রহিমের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই বিকেলে ফারজানার গাছের একটি নারকেল কুড়ানোকে কেন্দ্র করে আবদুর রহিমের সঙ্গে ফারজানার কথা–কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে আবদুর রহিম ধারালো দা দিয়ে ফারজানার মাথায় একাধিক আঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর পরিবারের লোকজন ফারজানাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ফারজানার বাবা নুরুল আমিন বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবদুর রহিমকে আসামি করে সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম থানার এসআই ইকবাল হোসেন ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর যুক্তি–তর্ক শেষে রোববার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালতের বিচারক ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন গৃহবধূ ফারজানাকে হত্যার দায়ে আসামি আবদুর রহিমকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী গোলাম আকবর এবং আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আবদুর রহিম। গোলাম আকবর রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।