রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বের করা বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় যুবদল, ছাত্রদলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে (২৫) আটক করে।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী শহরের টাউন হল মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের পৌর বাজারের সামনে যাওয়ার পর পুলিশের হামলার শিকার হয়েছে বলে যুবদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আজকের মিছিলে হামলা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কাল রোববার জেলার সব উপজেলা, পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নেতা নুরুল আমিন খান।
গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক সৈয়দ ফখরুল আবেদীন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আইনজীবী ওমর ফারুক বাদী হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় মামলাটি করেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে শহরের টাউন হল মোড় থেকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের আবদুল মালেক উকিল সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর বাজারের সামনে যেতেই পুলিশের একটি দল মিছিলের পেছন থেকে ধাওয়া করে।
এ সময় পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমানকে আটক করে। পুলিশের ধাওয়ায় মিছিলকারীদের মধ্যে কয়েকজন আহত হন।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে যুবদলের নেতা মো. সোহাগ, ছাত্রদলের হারুন ভূঁইয়া, শাহদাত হোসেন, ইমাম হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিনা অনুমতিতে হঠাৎ শহরে মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে মিছিলটি থেকে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করা হলে কর্তব্যরত পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে। তখন একজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।