নোয়াখালীতে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সেনবাগ উপজেলার ছাতাপাইয়া ইউনিয়নে মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ২৫ বছর, আর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ওই দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সেনবাগে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বেগমগঞ্জে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা পর খবর পাওয়ার কারণে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে গত দুদিনে করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলায় চারজনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে গত রোববার রাত দশটায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এক ব্যক্তি (৩৪) এবং সোমবার দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলায় এক নারী (৪০) মারা গেছেন। তাঁদের দুজনেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের এক যুবক কয়েক দিন ধরে জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরিবারের তরফ থেকে ইতিপূর্বে হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়নি। গতকাল দুপুর বারটার দিকে বাড়িতে ওই ব্যক্তি মারা যান। স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, করোনার উপসর্গে মারা যাওয়ার পর ব্যক্তির বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বলা হয়েছে। আর করোনার লাশ দাফনের বিশেষ কমিটি মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা করবে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক ব্যক্তির (৩২) মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তি মারা গেছেন সকাল দশটার দিকে। তাঁদের কাছে সংবাদটি পৌঁছে প্রায় তিন ঘণ্টা পর। তাই সময়মতো সংবাদ না পৌঁছায় মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। পরিবারের লোকজনকে স্থানীয়ভাবে লাশ দাফন করে ফেলার পরামর্শ দেওয়া