নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের সুবাহান মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম হাসিবুল বাশার (২৫)। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। হাসিবুল কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের ইউনুছ আলী মৌলভীর বাড়ির মৃত আবুল বাশারের ছেলে।
ঘটনার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ একাধিক দল কাজ করছে। স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের সুবাহান মার্কেট এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারের সঙ্গে ৮-১০ জনের একদল তরুণ ও যুবক কথা–কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ওই তরুণ ও যুবকেরা হাসিবুলকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন হাসিবুলকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী জানান, পূর্বশক্রতার জেরে উপজেলার কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হাসান, মাসুম ও তাঁদের অস্ত্রধারী সহযোগীরা হাসিবুলের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
রাহাত চৌধুরীর অভিযোগ, একই সন্ত্রাসীরা ইতিপূর্বে তাদের আরেক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছিল। ওই ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে একদল দুবৃর্ত্ত। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ওসি মীর জাহেদুল হক আরও বলেন, নিহত হাসিবুল বাশারের লাশ নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় বিকেল পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।