নোয়াখালীতে এক হাজার টাকার জন্য শ্যালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়ার জেরে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে শ্যালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম মো. রাশেদ (২১)। রাশেদ আদর্শ কলোনি এলাকার মৃত মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি কখনো ইটভাটায় কাজ করতেন, কখনো নদীতে মাছ ধরতেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে চরজব্বর থানা–পুলিশ রাশেদের লাশ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত তফজলের বাড়িও একই এলাকায়।

রাশেদের বড় বোন সুরমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, কিছুদিন আগে তাঁর খালাতো বোনের স্বামী তফজল হক শ্যালক রাশেদকে ইটভাটায় কাজ করার সময় দুই হাজার টাকা ধার দেন। তার মধ্যে এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন রাশেদ। তিন দিন আগে ওই পাওনা টাকার জন্য তাঁর ভাই রাশেদের সঙ্গে ঝগড়া হয় তফজলের।

সুরমা বেগম অভিযোগ করেন, আগের ঝগড়ার জের ধরে গতকাল রাতে স্থানীয় হাসেম মাঝির বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে তফজল তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। তফজল রাশেদেকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি দিলে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রাতে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সুরমা বেগম আরও বলেন, এক মাস আগে তাঁর ভাই বিয়ে করেন। তবে এখনো নতুন বউকে ঘরে তোলা হয়নি। বাড়িতে নতুন ঘর করার পরই বউকে বাড়িতে আনার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই মাত্র এক হাজার টাকার জন্য তাঁর ভাইকে জীবন দিতে হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত তফজলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তফজল হক আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মুঠোফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক দাস প্রথম আলোকে বলেন, রাত তিনটার দিকে চরজব্বর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তফজল হক পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এসআই দীপক দাস জানান, উদ্ধার করা লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।