নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নার্স, পুলিশ ও ব্যাংকের কর্মকর্তাও রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৪৮ জন।
জানতে চাইলে নতুন করে ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এ নিয়ে জেলায় মোট সংক্রমিত ১ হাজার ৫৮১ জন। তিনি জানান, নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে তাঁর কার্যালয়ের একজন অফিস সহায়কও রয়েছেন।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম ইবনুল হাসান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কশিনার (ভূমি), উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও তাঁর ছেলে রয়েছেন।
নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের চিকিৎসা সহকারী গিয়াস উদ্দিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ট্রেনিং সেন্টারের ১১ জন সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পরিদর্শকসহ তিনজন প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন। এ নিয়ে ট্রেনিং সেন্টারের ১৯ জন সদস্য সংক্রমিত হলেন।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, গতকাল পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে থানার দুজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও তিনজন কনস্টেবলের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমিত পুলিশ সদস্যদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ১০৬ জনের মধ্যে ৪৭ জন সদর উপজেলার, বেগমগঞ্জের ১০ জন, কোম্পানীগঞ্জের ৮ জন, কবিরহাটের ১৭ জন, সুবর্ণচরের ১৫ জন, চাটখিলের ৬ জন, সেনবাগের ১ জন ও সোনাইমুড়ীর আছেন ২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নার্স, পুলিশ ও ব্যাংকের কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সূত্র জানায়, বর্তমানে সদর উপজেলায় সংক্রমিত ৫১১ জন, সুবর্ণচরে ৫৯ জন, হাতিয়ায় ১০ জন, বেগমগঞ্জের ৫৬০ জন, সোনাইমুড়ীতে ৮৭ জন, চাটখিলে ১০৮ জন, সেনবাগে ৮৪ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৩৯ জন ও কবিরহাটে ১২৩ জন।