করোনার উপসর্গ নিয়ে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তির প্রায় আড়াই ঘণ্টার মাথায় চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় নোয়াখালী সদর উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হলো। এর আগে গত শনিবার নেয়াজপুর ইউনিয়নে এক ব্যক্তি (৫৫) জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। সোমবার আইসোলেশন ইউনিটে মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তাঁর সার্বিক অবস্থা জানার পর চিকিৎসক তাঁকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। দুপুর ১২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি জেলা শহরের মাইজদী বাজার এলাকায়। তিনি বেগমগঞ্জের একটি
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই ব্যক্তিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। পরে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে গত প্রায় এক মাসে সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, সুবর্ণচর ও সদর উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে বেগমগঞ্জে মারা যাওয়া দুজনের মরদেহের নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।