কিট সংকটের কারণে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার সর্বশেষ মজুত থাকা কিট দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে ২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত একটি পরীক্ষাও করা যায়নি।
১১ মে থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। এখানে ২৪ ঘণ্টায় ১৯৪টি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, শনিবার তাঁদের হাতে ২৪টি কিট ছিল। সেগুলো দিয়ে শেষ দিনের মতো নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আজ পরীক্ষা করার মতো কোনো কিট নেই। এ কারণে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৪০০ নমুনা পরীক্ষার অপেক্ষায় জমা পড়ে আছে।
ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন, রোববার তাঁরা কিটের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেখান থেকে কিট সরবরাহ করা হয়, সেখানে গেলে জানানো হয়, কিট ফুরিয়ে গেছে। বিদেশ থেকে আসা কিট বিমানবন্দরে রয়েছে। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে কিট এসে পৌঁছালে তারপর দেওয়া হবে।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় কিট না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের কাছে কিছু কিট ধার চাওয়া হয়। পাওয়া যাবে কি না, এখনো বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি সিভিল সার্জনের কার্যালয়েও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
জানতে চাইলে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ফজলে এলাহী খান বলেন, মেডিকেল কলেজে ব্যবহৃত কিট আর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত কিটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিটের জন্য তাঁদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পরে তিনি ঢাকায় কথা বলে ৫০০ কিটের ব্যবস্থা করেছেন। এসব আজ সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছাতে পারে।