নেত্রকোনায় বন্যার পানি খুবই ধীরগতিতে কমছে। এখনো প্রায় ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। ৭৫টি ইউনিয়নে ৩৪২টি আশ্রয়কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ আছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ডুবে থাকায় মানুষ বাড়িতে ফিরতে পারছে না। বিভিন্ন এলাকায় ও আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে বানভাসিরা হাহাকার করছে। জেলায় বন্যায় এ পর্যন্ত পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বলেন, পানি কমছে, তবে ধীরগতিতে। এখনো উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটারের ওপরে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৬ দশমিক ৫৫ মেটার। ধনু নদের খালিয়াজুরি পয়েন্টেও বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী, জারিয়ার কংসের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত আটটার পর থেকে আজ বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত প্রায় দুই ফুট পানি কমেছে। উপজেলার প্রায় ৮৮ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে আছে। এখনো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সাত হাজারের মতো মানুষ আছে।
মদনের ইউএনও বুলবুল আহমেদ বলেন, পানি কিছুটা কমছে। সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত গোবিন্দ্রশ্রী, তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮২ শতাংশ এলাকা পানির নিচে। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ডুবে থাকায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে না।