নেত্রকোনার বন্যাকবলিত ১০ উপজেলার মধ্যে ৩টিতে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, ২টিতে অবনতি হয়েছে এবং বাকি ৫টিতে অপরিবর্তিত আছে। দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বারহাট্টায় বন্যার পানি কমছে। তবে মদন ও খালিয়াজুরিতে পানি বাড়ছে। জেলার ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন মানুষ ঠাঁই নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টায় বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার ৫৮৭ সেন্টিমিটার নিচে আছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৮৯ মিটার। তবে কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। খারিয়াজুরির ধনু নদের পানিও বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, ভারী বৃষ্টি না হলে বন্যার পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যাবে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, গত শনিবার রাত থেকে কলমাকান্দায় পানি কমছে। উপজেলায় প্রায় ৯২ শতাংশ এলাকা নিমজ্জিত ছিল। তবে এখনো প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে আছে। দুর্গাপুরের ইউএনও রাজীব উল আহসান বলেন, দুর্গাপুরে বন্যার পরিস্থিতি বেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। পৌর শহরের এখন পানি নেই। তবে গাঁকান্দিয়া, চণ্ডীগড়, বিরিশিরিসহ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি ধীরগতিতে নামছে। পানি কমলেও দুর্ভোগ এখনো কমেনি। এই দুই কর্মকর্তা বলেন, ২টি উপজেলায় ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ৮ হাজার মানুষ রয়েছে।
মদনের ইউএনও বুলবুল আহমেদ বলেন, মদনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গোবিন্দ্রশ্রী, তিয়শ্রী, ফতেপুরসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকা পানির নিচে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, পানি কমলেও এখনো ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখের বেশি মানুষ আছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে প্রায় ১৫ হাজারের মতো গবাদিপশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।