নেত্রকোনার কলমাকান্দায়, দুর্গাপুর ও পূর্বধলায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্য হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বাঘসাত্রা গ্রামে বাড়ির সামনে গর্তে জমে থাকা পানিতে ডুবে আবদুল্লাহ নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। একই দিন সন্ধ্যায় পূর্বধলায় পূর্ণিমা আক্তার (১০) ও বিকেলে দুর্গাপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে মাহিন (৪) নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া আবদুল্লাহ কলমাকান্দার বাঘসাত্রা গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে। মাহিন দুর্গাপুরের গাওকান্দিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক সাইদুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে পূর্ণিমা আক্তার পূর্বধলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমূল গ্রামের মো. আইন উদ্দিনের মেয়ে ও ব্র্যাক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির বারান্দায় খেলা করছিল। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ পরিবারের অজান্তে বাড়ির সামনের একটি গর্তে জমে থাকা পানিতে পড়ে যায়। পরে আবদুল্লাহকে বারান্দায় না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর রাত আটটার দিকে ওই গর্ত থেকে আবদুল্লাহকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় পূর্ণিমা বাড়ির সামনে পুকুরপাড়ে পেয়ারা গাছে ওঠে পেয়ারা পাড়ছিল। এ সময় অসাবধানতাবশত পূর্ণিমা গাছ থেকে পড়ে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজন পুকুর থেকে উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পূর্ণিমা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে মাহিন তার মায়ের সঙ্গে একই গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে খেলাধুলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে শিশুটি বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে স্বজনেরা মাহিনকে ওই পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান, পূর্বধলার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ও দুর্গাপুর থানা ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তিন শিশুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে পৃথক তিনটি থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।