বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
আজ সকাল ৯টায় ২ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২টায় আরও ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। গতকাল শনিবার ওই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধির ভাষায়, কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিস্তাবেষ্টিত চরের গ্রামগুলোর বাড়িতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে পানি উঠতে শুরু করেছে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি টাপুরচর এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে করা বালির বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ওই গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাঁধটি রক্ষায় স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি রোববার সকাল আটটায় বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও বেলা ১২টায় পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’