নীলফামারীতে নতুন করে র্যাব ক্যাম্পের আরও ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৮ জনে। আজ বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার র্যাব-১৩, নীলফামারী ক্যাম্পের কর্মকর্তাসহ ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে পাঠানো হয়। আজ বিকেলে সেখান থেকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো ওই ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদনে ১০ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন উপসহকারী পরিচালকসহ চারজন কর্মকর্তা ও ছয়জন সদস্য রয়েছেন। এর আগে ২০ মে পর্যন্ত এক কর্মকর্তাসহ তিন সদস্য এবং ২৫ মে ছয় সদস্যের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১৩, নীলফামারী ক্যাম্পের অধিনায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগে নীলফামারী র্যাব ক্যাম্পের নয়জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে গতকাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ বিকেলে ওই ৬৩ জনের মধ্যে ১০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই ১০ জনকে রংপুরে র্যাবের আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। অপর নয়জন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, জেলায় চলতি বছরের ৭ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের শরীরে। এরপর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। আজ পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৮ জনে। এর মধ্যে জেলা সদরে ৪৭ জন, ডোমার উপজেলায় ১১ জন, ডিমলায় ১৫ জন, সৈয়দপুরে ১৮ জন, জলঢাকায় ৯ জন ও কিশোরগঞ্জে ৮ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যায় এগিয়ে আছে জেলা সদর। এর মধ্যে জেলা শহরের প্রগতিপাড়ায় একই পরিবারের ছয়জন এবং বাড়াইপাড়ায় একই পরিবারে ছয় সদস্যের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন নতুন করে র্যাবের ১০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ১০৮ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬৮ জন চিকিৎসাধীন, মারা গেছেন দুই জন এবং ৩৮ জন সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।