নীলফামারীতে আ. লীগ নেতার ওপর হামলা

হামলায় আহত নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুজার রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
 প্রথম আলো

নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুজার রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলা শহরের বাবুপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত আবুজার রহমানকে ২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদুল ইসলাম ওরফে নিক্সনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাহিদুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অমল চন্দ্র রায় বলেন, আহত আবুজার রহমান ডান হাতের কবজি, বাঁ চোখ ও নাকে আঘাত পেয়েছেন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুজার রহমান বলেন, ‘আমি রিকশাযোগে নিজ বাড়ি ফিরছিলাম। পথে আলমগীরের মোড়ে পৌঁছালে নিক্সন তার বাড়ি থেকে বরে হয়ে একটি রড নিয়ে অতর্কিত আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রিকশাচালকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।’ হামলার কারণ বুঝে উঠতে পাচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান বলেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদুল ইসলাম নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আবুজার রহমানের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। তাঁর দাবি, নাহিদুল ইসলাম মাদকাসক্ত। তাঁর হাতে মাদকসেবনের টাকা না থাকলে তিনি টাকার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন মানুষের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

খবর পেয়ে রাতেই আবুজার রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সভাপতি মমতাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।

আজ সোমবার দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাহিদুল ইসলামকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে হামলাকারী নাহিদুল ইসলামকে আলমগীরের মোড়ে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।