নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না—এসব কথা একেবারে মানতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। যশোরের কেশবপুরে পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আজ সোমবার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন সিইসি। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে এত কিছুর মধ্যেও ৬৬ পারসেন্ট, ৬৫ পারসেন্ট, ৬৭ পারসেন্ট লোক ভোট দেয়। আপনারাই বলেন, মহিলাদের উপচে পড়া ভিড়, লাইন ধরে মহিলারা ভোট দিচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি যখন ভালো থাকে, যখন নিরাপদ থাকে, তখনই তো মহিলাদের উপস্থিতি লক্ষণীয় হয়। সুতরাং আমাদের এখানে নির্বাচন সঠিক হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে। মানুষ ভোট দিচ্ছে, ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি যাচ্ছে।’
নির্বাচনে কোথাও কোথাও কিছু কিছু সংঘর্ষ হয়, স্বীকার করে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘পৃথিবীর সব নির্বাচনে তা হয়। ভারতে হয়, নেপালে হয়, শ্রীলঙ্কায় হয়, সুদানে হয়, মেক্সিকোতে হয়, ইভেন (এমনকি) আমেরিকাতেও হয়। যত প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়, মানুষের মধ্যে তত সহনশীলতার অভাব দেখা দেয়। ফলে কোথাও কোথাও ঘটনা ঘটে যায়। তখন সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না— এসব কথা একেবারে মানতে রাজি না আমি।’
২৮ ফেব্রুয়ারি যশোরের কেশবপুর পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলেও আশ্বস্ত করেন সিইসি।
কেশবপুর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিই প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদির, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী, যশোরের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন।