পাবনার হিমাইতপুর ইউপি

নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

পাবনায় নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

পাবনা সদর উপজেলার হিমাইতপুরে ইউপিতে নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শামীম হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির প্রচার সম্পাদক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ ডিসেম্বর হিমাইতপুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ছয়জন ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল আলম সমর্থকদের বিরোধ তৈরি হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল আলমের সমর্থকেরা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করে কটূক্তি করেন।

নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার হিমাইতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া বাজারে নিহত হন শামীম হোসেন। এরপর তাঁর বাড়িতে শুরু হয় মাতম। আহাজারি করে স্বামী হত্যার বিচার চাইছেন স্ত্রী রিতা আক্তার। হাটগ্রাম, নাজিরপুর, পাবনা, ২৮ ডিসেম্বর

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নিহত শামীম হোসেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনে কাজ করেছেন। ফলে কয়েক দিন ধরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল আলমসহ তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য শামীমকে দায়ী করছিলেন। সন্ধ্যায় শামীম গ্রামের মোড়ে একটি দোকানে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল আলমের সমর্থকেরা তাঁকে পরাজয়ের জন্য দায়ী করে বিভিন্ন কথা বলতে থাকেন।

এ সময় প্রতিবাদ করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল আলম ও তাঁর ছেলে ইমরান হোসেন লোকজন নিয়ে এসে শামীমের ওপর হামলা চালান। তাঁরা এ সময় বেশ কয়েকটি গুলিও ছোড়েন। এতে শামীম গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল আলম নিজেই তাঁর লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ঘটনার পর থেকেই তারিকুল গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁকে ধরতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’