শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আবু সাইদ নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গেরাপচা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ওই ব্যক্তির নাম মাহফুজুর রহমান (৪৫)। তিনি উপজেলার গেরাপচা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। নিহত আবু সাইদ (২৬) একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মাহফুজুর রহমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। বছর খানেক আগে মাহফুজুরকে তালাক দিয়ে তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়ি দিনাজপুরে চলে যান। মাহফুজুর পুলিশকে জানিয়েছেন, স্ত্রী চলে যাওয়ায় তিনি আবু সাইদকে সন্দেহ করতেন। তাই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিনি সাইদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
পরে গতকাল রাতে পরিকল্পিতভাবে তিনি মাছ ধরার কথা বলে সাইদকে সঙ্গে নিয়ে বিলে যান। রাত এগারোটার পর একসঙ্গে ফিরে তাঁরা স্থানীয় একটি দোকানে চা পান করেন। সেখান থেকে ফেরার সময় কথা বলার ছলে মাহফুজুর সাইদকে ডেকে নিয়ে আকস্মিকভাবে ঘাড়ের পেছনে দা দিয়ে পরপর দুটি কোপ মারেন। এতে সাইদের ঘাড়ের পেছনের অংশ পুরোপুরি কেটে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ সময় সাইদের চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক সাইদকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে অভিযুক্ত মাহফুজুর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর শহরের নয়ানিকান্দা এলাকায় নালিতাবাড়ী-ঢাকা সড়ক থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বলেন, আটক মাহফুজ হত্যার অভিযোগ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাইদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।