গাজীপুরের খাদিজা খানম (৪০) চাকরি করতেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায়। একসময় তাঁকে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। রোজগারের জন্য হস্তশিল্প পণ্য তৈরির কাজকে বিকল্প পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। পণ্য উৎপাদিত হলেও বাজারজাত করতে গিয়ে তিনি সমস্যায় পড়েন। সে সমস্যার সমাধান মিলেছে কাপাসিয়া উপজেলা বাজারের ‘মহিলা কর্নারে’।
নারী উদ্যোক্তাদের বেশ কয়েকটি দোকান স্থান পেয়েছে মহিলা কর্নারে। এক বছর আগে কাপাসিয়া বাজারে মহিলা কর্নার চালু করেন স্থানীয় সাংসদ সিমিন হোসেন। মহিলা কর্নারে খাদিজা খানমের মতো ছয়–সাতজন নারীর অধীনে গ্রামে গ্রামে কাজ করছেন দুই শতাধিক নারী। পণ্য বাজারজাত করার এই মাধ্যম স্বাবলম্বী করেছে তাঁদের।
মহিলা কর্নারের উত্তর পাশের ছোট একটি দোকান খাদিজা খানমের। তিনি কাপাসিয়ার বরুণ গ্রামের বাসিন্দা। দোকানের ভেতর থরে থরে সাজানো হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। তাকে সাজানো বুটিকের শাড়ি। বড় বড় বিক্রয়কেন্দ্র এখন ‘অর্ডার’ দিয়ে খাদিজার কাছে থেকে পণ্য তৈরি করে নেয়।
দোকানে বসে খাদিজা শোনান তাঁর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প। কাপাসিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যালয়ের মাধ্যমে হস্তশিল্প পণ্য তৈরির কাজ শেখেন তিনি। শুরুর দিকে পরিবারের লোকজন তাঁকে বলতেন ‘পাড়া–বেড়ানো মেয়ে’। হাতে পণ্য তৈরি করতে তিনি যখন অন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন তখন আশপাশের লোকজন বলতে শুরু করেন, এই মেয়ে পাড়া –বেড়ানোর আয়োজন করেছে।
খাদিজা বলেন, কারও কথায় কর্ণপাত না করে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে কাজ করে গেছেন। যখন ব্যবসায় সফলতা আসতে শুরু করল, তখন আশপাশের লোকজনের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাতে শুরু করে। সহযোগিতা পান পরিবার থেকেও।
মহিলা কর্নারের ব্যবস্থাপনায় আছে কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় সাংসদ সিমিন হোসেন বলেন, নারীদের স্বনির্ভর করতে আরও যা যা প্রয়োজন সব করা হবে।