নোয়াখালীর সুবর্ণচর

নারীর খণ্ডিত লাশের আরও তিন টুকরা উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নুর জাহান বেগমের (৪৩) খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের পর এবার আরও তিন টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের উত্তর জাহাজমারা গ্রামের একটি মুরগির খাদ্য উৎপাদনের কারখানার পেছনের ধানখেত থেকে টুকরাগুলো উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বুধবার বিকেলে নুর জাহান বেগমের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, দুই দিনে ধানখেতের আনুমানিক ২০০ গজের মধ্য থেকে লাশটির মোট ৫টি টুকরা উদ্ধার করা হলো।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। এ সময় নিহত ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, লাশের টুকরা দেখে তাঁর মনে হয়েছে, ঠান্ডা মাথায় খুনটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার বিকেলে ওই নারীর লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের ঘটনায় রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত নারীর ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ওসি সাহেদ উদ্দিন বলেন, উদ্ধার করা লাশের খণ্ডগুলো ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ভোরে চরজব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের বাড়ি থেকে শামুক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বের হন নুর জাহান বেগ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উত্তর জাহাজমারা গ্রামের মুরগির খাদ্য উৎপাদনের কারখানা পেছনের ধানখেত থেকে লাশের দুটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়। নিহত নুর জাহান বেগম উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল বারেকের স্ত্রী।