নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, নার্সসহ ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের খানপুর এলাকার এ হাসপাতালটি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত।
বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, নার্সসহ ১২ জনের নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ১২ জনকে হাসপাতালেই আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এই হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ এ পর্যন্ত ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। আর পুরো জেলায় পাঁচজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা আইসোলেশনে আছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক কর্মচারীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষায় ওই কর্মচারীর করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। তিনি সুস্থ ছিলেন। তারপরও তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রশ্নে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে চিহ্নিত করেছে আইইডিসিআর। ৮ এপ্রিল থেকে জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করেছে তারা। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১৩। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৬৯ জন। নারায়ণগঞ্জ সিটি ও সদর উপজেলা এলাকায় প্রাদুর্ভাব বেশি।