নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও লিকেজের সন্ধানে দুই পাশের পুরো রাস্তা খনন করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে তৃতীয় দিনের মতো ঘটনাস্থলে মাটি অপসারণ করছেন তিতাসের শ্রমিকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মসজিদের পূর্ব পাশের সড়কের সামনে স্তূপ করে রাখা মাটি ভেকু দিয়ে অপসারণ শুরু হয়। শ্রমিকেরা হাতুড়িসহ অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে আরসিসি রাস্তা ভাঙার কাজ করছেন। মসজিদের উত্তর দিকে আরসিসি রাস্তা ভাঙার কাজ শুরু করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আরও ছিদ্র ও পাইপলাইন আছে কি না, দেখতে মসজিদের উত্তর ও পূর্ব পাশের পুরো রাস্তার মাটি খুঁড়ে দেখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আজ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, কাজ শেষ করা গেলে আজ গ্যাস সরবরাহ চালু করা সম্ভব হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিতাসের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান তিতাস গ্যাস ঢাকা কার্যালয়ের জিএম (পরিকল্পনা) আবদুল ওয়াহাব তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দ্বগ্ধ হন। এর মধ্যে রোববার ভোর পর্যন্ত এক শিশু, বাইতুস সালাত জামে মসজিদের ইমাম আবদুল মালেকসহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। থাই জানালার কাচ বিস্ফোরণে উড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ও পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির গণশুনানিতে ৪৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদিকে তিতাসের পাইপলাইনে দুটি ছিদ্র বের হওয়ার ঘটনায় গত সোমবার তিতাসের চার কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।