নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় আগুনে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। এই ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেননি।
তবে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেছেন, কারখানা তৈরি করা হলেও সেখানে জরুরি বহির্গমনের পর্যাপ্ত সিঁড়ি রাখা হয়নি। জরুরি সিঁড়ি রাখা হলে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। এ কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হবে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজ রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম সায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি। ওই ঘটনায় কারখানায় নিহত বা আহত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। তবে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসপি জায়েদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর আমরা কারখানাটি ঘুরে দেখেছি। সেখানে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। এ ছাড়া জরুরি বহির্গমনের জন্য বিল্ডিং কোড অনুযায়ী যেভাবে সিঁড়ি রাখার দরকার ছিল, তা এখানে ছিল না। কারখানাটি মালামালে ভর্তি ছিল। এসব কারণে আগুনের ঘটনায় শ্রমিকেরা দ্রুত কারখানা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে ৫২ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হবে। আজকেই মামলাটি হবে।’
ওই মামলায় কাকে ও কতজনকে আসামি করা হবে জানতে চাইলে এসপি বলেন, মামলার পর বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের ঘটনায় প্রথম দিন তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অর্ধশত শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে গতকাল শুক্রবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ওই ভবনের চারতলা থেকে ২৬ নারীসহ ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।