নাটোরে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫

স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ তরুণ। আজ দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে
ছবি: সংগৃহীত

নাটোর সদর উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ছাতনি শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শরিফুল ইসলাম (২৮), শহিদুল ইসলাম (২৪), কাজল হোসেন (২৫), আমিনুর (৪০) ও আস্তুল হোসেন (৩৮)। মামলার অন্য তিন আসামি মো. লিটন (২৩), নয়ন আলী (২৬) ও মো. রাজু (২৫) পলাতক। আসামিরা সবাই সদর উপজেলার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা উপজেলার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী মায়ের ওপর অভিমান করে সদর উপজেলায় নানার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে ছাতনি গ্রামে এসে পথ হারিয়ে ফেলে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন তরুণ ওই ছাত্রীকে তার নানার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ছাতনি শ্মশানঘাট এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে সাতজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

রাত দুইটার দিকে ওই ছাত্রীর কান্নায় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নাটোর সদর থানায় নিয়ে আসে। ওই ছাত্রী বর্তমানে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই ছাত্রীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর মেয়ে অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা দেরিতে বাসায় ফেরে। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ায় মায়ের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সে মায়ের ওপর রাগ করে নানার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনছুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির করা হবে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে আজ দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।