করোনার টিকা নিলেই নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় উপহার হিসেবে মিলছে শাড়ি, লুঙ্গি ও প্রাইজবন্ড। স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল কুদ্দুস তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এসব উপহার দিচ্ছেন।
গতকাল রোববার করোনার টিকা দেওয়ার উদ্বোধনী দিনে গুরুদাসপুর উপজেলায় ৪১ জনকে শাড়ি ও লুঙ্গি কেনার জন্য ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে এবং বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৪০ জনের প্রত্যেককে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দেওয়া হয়েছে। টিকা গ্রহণের পর এমন উপহার পেয়ে খুশি টিকা গ্রহণকারীরা।
এই তথ্য নিশ্চিত করে সাংসদ আবদুল কুদ্দুস আজ সোমবার মুঠোফোনে বলেন, ‘করোনার টিকা নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতি ও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য প্রচার–প্রচারণা অব্যাহত থাকলেও সাড়া মিলছে কম। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে টিকায় আগ্রহী করতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রণোদনার উদ্যোগ নিয়েছি।’
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন বলেন, উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার ২০২ জনকে টিকা (ডাবল ডোজ) দেওয়া হবে। আজ সোমবার পর্যন্ত ৮৭৯ জন টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন। গতকাল রোববার উদ্বোধনী দিনে ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজন নারী ছিলেন। আজ ৬০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন নারী। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। তিনি সাংসদের উপহার দেওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডলি রানী আজ মুঠোফোনে বলেন, উদ্বোধনী দিনে ৪০ জন টিকা গ্রহণকারী প্রত্যেককে প্রণোদনা হিসেবে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দিয়েছেন সাংসদ। প্রথম টিকা নিয়েছিলেন সিনিয়র নার্স এনড্রিকা। আজ আরও ৫০ জন টিকা নিয়েছেন। উপজেলায় ৮৪৬ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। এর মধ্যে ১১৩ জনের অনুমোদন মিলেছে। উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৮৬০ জনকে টিকা দেওয়া হবে জানান তিনি। বড়াইগ্রামের ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনও এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।