নরসিংদীতে গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার চিনিশপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বাধ্য হয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শহরের জেলখানার মোড় এলাকার দিকে যেতে চাইলে ব্যারিকেড ফেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন নেতা–কর্মীরা।
দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির ওরফে খোকনের সভাপতিত্বে এবং জেলার সদস্যসচিব মঞ্জুর এলাহীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সালেহ চৌধুরী, আকবর হোসেন, গোলাম কবির, ফারুক উদ্দিন ভূঞা, খবিরুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক আমিনুল হক।
বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ চরম বিপাকে আছে। সবকিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। তাদের লুটপাটের কারণেই দেশের এ করুণ অবস্থা। এই ব্যর্থ সরকারের কবল থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়।
সমাবেশে খায়রুল কবির বলেন, প্রায় সাত লাখ কোটি টাকার যে বাজেট দেওয়া হয়েছে, তা জনগণের কোনো কাজে আসবে না। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের টাকা লুট করে ৮ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৪৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যখনই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে, তখনই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়, লুটপাট হয়, দেশের টাকা বাইরে পাচার হয়। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের নেতারা ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘গণমানুষের দল হিসেবে আমরা সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বলতে এসেছি। কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামতে দেওয়া দূরে থাক, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বাধা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’
বাধা দেওয়ার বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। তাঁদের কোনোভাবে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি এবং নেতা-কর্মীদের কাউকে আটকও করা হয়নি।