ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে।
বিদ্যালয় ও তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আল-আমিনের কাছে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রাইভেট পড়ত। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই ছাত্রী শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে তিনি যৌন হয়রানি করেন। এক শিক্ষার্থী বিষয়টি টের পেয়ে গোপনে ভিডিও করে। পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিনই ছাত্রীর সহপাঠীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করলে তারা অভিযোগের সত্যতা পায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে সভা করেছি। সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুল থেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাবেন, মর্মে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এক মাসের মধ্যে যদি তিনি নিজ থেকে অব্যাহতি না নেন, তাহলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে অব্যাহতি দেবে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক আল-আমীন বলেন, ‘আমার বলার কোনো ভাষা নেই। আমি ঘটনার সত্য-মিথ্যা কিছুই বলব না। কমিটির কাছ থেকে আমি এক মাসের সময় নিয়েছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।