দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের বন্দুক জব্দের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ। সেই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি চেয়ারম্যানসহ তাঁর অনুগত লোকজনকে দ্রুত গ্রেপ্তার, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দিলীপ কুমার ঘোষ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয় হয়, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড নবাবগঞ্জে মইলা নদীতে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে খননকাজ হাতে নেয়। খনন নকশায় অনেকের ব্যক্তিগত জমি পড়েছে। ব্যক্তিগত জমিতে নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থানে খনন কাজের যাবতীয় তথ্যসংবলিত বোর্ড থাকার কথা। কিন্তু কাজের তথ্য সংবলিত কোনো বোর্ডও দেয়নি তারা। স্থানীয় লোকজন ব্যক্তিগত জমি উদ্ধার এবং নিম্নমানের কাজের বিষয়ে যুবলীগের স্থানীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে গত বুধবার কাজের স্থানে গিয়ে কর্মরত ব্যক্তিদের কাছে খননকাজের তথ্য জানতে চান যুবলীগ নেতারা। সেখানে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের ছেলে শফিউল ইসলাম নিজেকে ঠিকাদার দাবি করে কাজের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। ঘটনাস্থলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের যাওয়ার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান আতাউর তাঁর লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। সেখানে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আতাউর রহমান তাঁর নিজের ব্যবহৃত শটগান দিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে যুবলীগের তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর বন্দুক জব্দসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, নদী খননকাজের বাধা ও তাঁর ছেলের ওপর হামলার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করেন। বাধ্য হয়ে তিনি দুটি গুলি ছোড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুজ্জামান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান প্রমুখ।