নওগাঁয় নতুন করে আরও ৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসকসহ সাতজন স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মুনজের-ই মুর্শিদ বলেন, গত ২৮ এপ্রিল ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) ৭৩ জনের এবং গত শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। গতকাল সোমবার রাতে রাজশাহী ল্যাবে পাঠানো ৩৩টি নমুনার প্রতিবেদন আসে। ওই ৩৩টি নমুনার কোনোটিতেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ই-মেইলে আইইডিসিআরে পাঠানো ৭৩ জনের নমুনার প্রতিবেদন আসে। সেখান থেকে ৩২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন করে আক্রান্ত ৩২ জনের মধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলায় আটজন, রানীনগরে সাতজন, সাপাহারে সাতজন, মহাদেবপুরে ছয়জন, পত্নীতলায় দুজন, ধামইরহাটে একজন ও বদলগাছী উপজেলায় একজন আছেন। এর মধ্যে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন চিকিৎসক, রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক, নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। এ ছাড়া পত্নীতলা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রানীনগর, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর ও বদলগাছী হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালগুলো লকডাউন করা হবে কি না, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।