নওগাঁয় নতুন করে ৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রয়েছেন। আজ সোমবার সকালে ডেপুটি সিভিল সার্জন মনজুর-এ মুর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নতুন আক্রান্ত ৩৪ জনসহ নওগাঁ কোভিড-১৯-এ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫১। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২১৩ জন। মারা গেছেন ছয়জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ল্যাব ও বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতাল ল্যাব থেকে ১৭৩টি নমুনার ফল ই-মেইলে আসে। এর মধ্যে ৩৬টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আগে আক্রান্ত দুজন কোভিড রোগীর দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। অর্থাৎ নতুন করে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের ২২ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী রয়েছেন। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পোরশা উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়নের ছয়জন ইউপি সদস্যসহ ১৬, সদর উপজেলায় ১০ জন, মহাদেবপুরে ৩ জন, পত্নীতলায় ২ জন, ধামইরহাটে ২ জন এবং রানীনগরে ১ জন রয়েছেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মনজুর-এ মুর্শেদ বলেন, আক্রান্ত ৩৪ জনের অধিকাংশের শরীরেই তেমন কোনো জটিল উপসর্গ নেই। তাঁদের সবাইকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) থেকেই চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যসহ অন্যদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংস্পর্শে আসা সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
জেলায় প্রথম একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় গত ২৩ এপ্রিল। প্রথম দিকে এক-দুজন করে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল। পরে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এরপর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ ছুঁতে সময় লাগে ৩৯ দিন। কিন্তু পরের ১৩ দিনেই কোভিড রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরপর মাত্র ১৫ দিনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫০ ছাড়াল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হওয়া ৪৫১ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১৩ জন।