নওগাঁয় প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত নার্সসহ ৯ জন সুস্থ হয়ে আজ সোমবার বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা হাসপাতালে ছিলেন। তাঁদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রানীনগর ও আত্রাইয়ে তিনজন করে, মহাদেবপুরে দুজন ও মান্দা উপজেলায় একজন রয়েছেন। আজ দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ ফল আসায় তাঁদের সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
রানীনগর উপজেলায় করোনামুক্ত তিনজনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স দিপা আক্তার ও মোসলেমা আক্তার রয়েছেন। আরেকজন হলেন দিপার স্বামী তুহিন রানা। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিট থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় দিপা আক্তারের শরীরে।
আত্রাই উপজেলায় একই পরিবারের তিনজন বাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলে করোনামুক্ত হয়েছেন। তাঁরা হলেন গোয়ালবাড়ী গ্রামের সামাদ আলী, তাঁর মা আনোয়ারা বিবি ও ছেলে সাদিক হোসেন।
এ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোখসানা আক্তার বলেন, ‘ওই তিনজন বাড়িতে থাকলেও আমরা তাঁদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় তেমন কোনো চিকিৎসা ও ওষুধ ছাড়াই তাঁরা সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের মনোবল সব সময় চাঙা ছিল। আত্মবিশ্বাসের কারণে তাঁরা দ্রুত সুস্থ হতে পেরেছেন।’
মহাদেবপুর উপজেলার দক্ষিণ দুলালপাড়া গ্রামের সুজিত কুমার ও সিদ্দিকপুর গ্রামের ফেরদৌসি আক্তার এবং মান্দা উপজেলার দোসতি গ্রামের সাব্বির রহমানও বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত নওগাঁয় করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১০ জন। এর আগে রোববার সাপাহার উপজেলার কামাসপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পরপর দুবারের নমুনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসায় আজ ৯ জনকে সুস্থ বলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের আগামী ১৪ দিন বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এর মধ্যে তাঁদের শরীরে আর করোনার উপসর্গ দেখা না দিলে তাঁদের পুরোপুরি সুস্থ বলা যাবে।