বগুড়ার ধুনট উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের সরকারি চাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দীনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কার হওয়া ওই দুই নেতা হলেন নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাদি ও যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলী।
নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হক বলেন, সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও বিক্রির অভিযোগে মামলা হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে ওই দুই নেতাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বেড়েরবাড়ি গ্রামের আবদুল হাদিকে সরকারি চাল বিক্রির পরিবেশক (ডিলার) নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর অধীনে থাকা ৭১০টি কার্ডের অনুকূলে ২১ হাজার ৩০ কেজি চাল তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে তোলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে বেড়েরবাড়ির বাবুবাজার এলাকায় নির্ধারিত বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সুবিধাভোগীদের কাছে চাল বিক্রি করেন তিনি। একই সঙ্গে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কার্ড জমা নিয়ে চালের পরিবর্তে ৫০০-৬০০ করে টাকা দিয়ে বিদায় করেছেন। পরে এসব চাল বেশি দামে বিক্রির জন্য তাঁর ভাগনে নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলীর গুদামে জমা রাখেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন বগুড়া র্যাব-১২–এর সহযোগিতায় সেখানে অভিযান চালিয়ে ডিলার আবদুল হাদির কাছ থেকে ২৩৬টি অবৈধ কার্ড উদ্ধার করে এবং নবাব আলীর গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫১ বস্তা (১০২ মণ) চাল জব্দ করে। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক সেকেন্দার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে। ফলে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সরকারি চাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে হওয়া মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।