বগুড়ার ধুনটে স্বামীর ঘর থেকে শাপলা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে ঘরের ভেতর আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শাপলার লাশ দেখে থানায় খবর দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দুপুরের দিকে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শাপলা খাতুন উপজেলার পারধুনট গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। তাঁর বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কুইন্দা বাজার এলাকায়। তাঁর চার মাসের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
রাতে শ্বশুরবাড়িতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাপলা খাতুন। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ অবস্থায় ভেতরে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পান পরিবারের লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে তাড়াশের কুইন্দা বাজার এলাকার আবদুল হান্নানের মেয়ে শাপলা খাতুনের সঙ্গে ধুনটের পারধুনট গ্রামের আলমগীর হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আলমগীর ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। সেখানে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। স্ত্রী শাপলা খাতুন সন্তান নিয়ে থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক বছর ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল।
গতকাল বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাপলা খাতুন। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ অবস্থায় ভেতরে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পান পরিবারের লোকজন। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দেখতে পান, শাপলা খাতুন গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছেন। পরে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন।
শাপলা খাতুনের স্বামী ঢাকায় থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরেও যোগাযোগ করা যায়নি। শাপলার বাবা আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, কীভাবে যে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছেন না। তাঁর মেয়ে একটু জেদি ছিল। ঝগড়ার কারণে এ কাজ করবে বুঝতে পারেননি।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা বলেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে শাপলা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য শাপলার লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।