বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দরজা কেটে ঘরে ঢুকে মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বিচারের নামে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্তের বাবা সাহেব আলীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাহেব আলীর বাড়ি একই উপজেলায়।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, কিশোরীটি একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। লিমন মিয়া (২৬) ছয় মাস আগে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়েটি সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন লিমন। বিষয়টি লিমনের বাবাকে জানানো হলে তিনি ছেলেকে ওই পথ থেকে সরাতে পারেনি। ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটি তার পড়ার কক্ষের বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মেয়েটির মা-বাবা। লিমন রাতে ঘরের দরজা কেটে ভেতরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ওই ঘরে গিয়ে লিমনকে আটক করেন।
এ সময় খবর পেয়ে ‘বিচার করার’ কথা বলে লিমনকে ওই বাড়ি থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান তাঁর বাবা সাহেব আলী। পরে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে গত ৮ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার চিকিৎসা সনদে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। পরে লিমনের বাবার পক্ষ থেকে ‘বিচার না পেয়ে’ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৮ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় লিমন মিয়া ও তাঁর বাবা সাহেব আলীকে আসামি করা হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। আদেশ পেয়ে গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে সাহেব আলীকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে মামলাটি থানায় রেকর্ড করে সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, আদালতের আদেশে মামলাটি রেকর্ডের পর এজাহারভুক্ত আসামি সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।