বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকায় নির্মাণাধীন একটি সেতুর সাটারিং খুলে পড়ে লুতু প্রামাণিক (৬৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধুনট-শেরপুর সড়কের ফায়ার সার্ভিস ভবনের সামনে বাইপাস থানা সড়কের তিন মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লুতু প্রামাণিক সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে। তখন কোব্বাত আলী (৬০) নামের আরও এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। তিনি একই গ্রামের আজবুল্লাহর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অর্থায়নে নির্মাণাধীন ওই সেতুটি বগুড়ার একটি টিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ করছে। প্রায় ছয় মাস আগে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
নির্মাণাধীন সেতুর শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শী ছোট এলাঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য দিনের মতো আজ সকাল থেকে তাঁরা ২০ জন শ্রমিক ওই সেতুতে কাজ করছিলেন। লুতু ও কোব্বাত ওই সেতুর নিচে মাটি সরানোর কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎ সেতুর সাটারিংয়ের একটি কাঠের খুঁটি খুলে তাঁদের গায়ের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই লুতু অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছাবিহা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার শিকার এক শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর সঙ্গে আসা শ্রমিক কোব্বাত আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ধুনট পৌরসভার মেয়র এ জি এম বাদশাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত ব্যক্তির চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।