বগুড়ার ধুনটে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পেঁচিবাড়ি গ্রামের কাছে বাঙ্গালী নদীর চর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে নদীভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম মোহাম্মাদ আলী। তিনি চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিলকাজুলি গ্রামের বাসিন্দা।
ধুনট উপজেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাঙ্গালী নদী। পানি কমে যাওয়ায় নদীর দুই তীর জেগে উঠেছে। এক সপ্তাহ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মাদ আলী নদীর পূর্ব পাশের তীর ঘেঁষে পেঁচিবাড়ি এলাকায় জেগে ওঠা চর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এসব মাটি কিনে ইটভাটা, বসতভিটা ও বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতি ট্রাক মাটির দাম এক হাজার টাকা। মাটি কাটার ফলে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় আবাদি জমি ও বসতভিটা নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ থেকে ১২ জন বাসিন্দা জানান, চরের মাটি কাটার প্রভাব এখন তেমন দেখা যাবে না। কিন্তু বর্ষার সময় চর পানিতে তলিয়ে যাবে। ওই সময় নদীতে তীব্র স্রোত হবে। তখন মাটি কাটার গর্তে পানিতে ঘূর্ণির সৃষ্টি হবে। এতে আবাদি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়বে। অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল হয় না।
অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বাঙ্গালী নদীর চরে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছি। স্থানীয় কয়েকজন সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেছেন।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, মাটি কাটার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেননি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, ‘বাঙ্গালী নদীর চর থেকে মাটি কেটে বিক্রির কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চরের কেটে মাটি নেওয়ার কথা শুনেছি। দু–এক দিনের মধ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’