চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া ঢমপুল এলাকার ধানখেত থেকে গতকাল শনিবার উদ্ধার করা লাশটি কিশোর নয়ন আলীর (১৪)। তাকে হত্যা করে তার পাখিভ্যানটি (ব্যাটারিচালিত ভ্যান) নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
নয়ন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার নৃসিংহপুর গ্রামের ফকিরপাড়ার মিঠু শাহের ছেলে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, সদর হাসপাতালের মর্গে কিশোরের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। তার ছবি তুলে আশপাশের থানাগুলোয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া হয়। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নয়নের মামাতো ভাই রতন আলী চুয়াডাঙ্গায় গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। রাতেই নয়নের লাশ কুষ্টিয়ার নৃসিংহপুরে নিয়ে যান স্বজনেরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশ খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পাখিভ্যানটি ছিনতাইয়ের জন্য যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা নয়নকে ছয়ঘরিয়া এলাকায় নিয়ে খুন করেছে। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই জড়িত ব্যক্তিদের আটক করা হবে।