নাটোরের বড়াইগ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারকে ধাওয়া করে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার দুপুরে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুর এলাকার একটি বিল থেকে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটক মাদ্রাসা সুপারের নাম ইসমাইল হোসেন (৩৪)। তিনি উপজেলার কালিকাপুর এলাকার একটি মাদ্রাসার সুপার ও গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা শাহিবাজার গ্রামের আবদুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসা সুপার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
বড়াইগ্রামের বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ওই মাদ্রাসাও বন্ধ রয়েছে। তবে মাদ্রাসা সুপার ইসমাইল প্রাইভেট পড়ার মাধ্যমে হলেও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখার জন্য অভিভাবকদের তাগিদ দেন। এ কারণে মালিপাড়া এলাকার এক অভিভাবক তাঁর পঞ্চম শ্রেণির শ্যালিকাকে ওই সুপারের কাছে প্রাইভেট পড়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী ওই সুপারের কাছে প্রাইভেট পড়তে আপত্তি জানায়। কারণ জানতে চাইলে ওই ছাত্রী জানায়, ওই সুপার তার এক বান্ধবীকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন। পরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন স্থানীয়রা।
শনিবার সকালে কয়েকজন অভিভাবক মাদ্রাসায় গিয়ে সুপারের কাছে ঘটনাটির ব্যাখ্যা চান। এ সময় তিনি তাঁদের অপেক্ষা করতে বলে কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে তাঁকে আটক করে। পরে তাঁকে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করে গ্রামবাসী।