হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ক্ষোভে–দুঃখে এক গৃহবধূ (২২) আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, ওই গৃহবধূকে তাঁর দেবর ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষণের এই অপমান সইতে না পেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ওই গৃহবধূ সৌদিপ্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে বাহুবল থানায় মামলা করেন। মামলার পর র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোরে ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেন।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ওই গৃহবধূর দেবর (৩৫) বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তিনি প্রায়ই সৌদিপ্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রীকে (ওই গৃহবধূ) উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি গৃহবধূ তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে জানান। কিন্তু তাঁরা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। রোববার রাতে ওই দেবর কৌশলে শোবার ঘরে ঢুকে ভাবিকে ধর্ষণ করেন। এই অপমান সইতে পেরে রাতেই ওই গৃহবধূ অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি ও বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার সকালে তাঁকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
ওই গৃহবধূর ভাই বলেছেন, ঘটনার পরপরই তিনিই তাঁর বোনকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তাঁর বোন তাঁকে জানান, ওই দিন রাতে তাঁর দেবর তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। এই অপমান সইতে না পেরেই তাঁর বোন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূর লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পাশাপাশি সিলেট কোতোয়ালি থানা-পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে। প্রতিবেদন দুটি এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি। তবে পুলিশ তদন্তকাজ শুরু করেছে।