ধর্ষণচেষ্টার পর কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা, মামলা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ধর্ষণ চেষ্টার পর এক কিশোরীকে (১৫) ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি গ্রামে এই ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। গুরুতর আহত ওই কিশোরী বর্তমানে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউপির একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বড় বোন তিনতলা বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকেন। গত ১৪ অক্টোবর হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে কিশোরী তাঁর বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর থেকে মুদিদোকানি রুবেল (২৫) ও অপর ভাড়াটিয়া অপু (২২) তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রুবেল ও অপু কিশোরীদের ঘরে দরজার কড়া নাড়েন। এ সময় দরজা খুললে তাঁরা কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তাঁরা। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে আসামিরা পালিয়ে যান।

এরপর কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মদনপুর বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যান। তার এক পা ও এক হাতের হাড় ভাঙা এবং মাথায় আঘাত থাকায় তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রুবেল ও অপু পলাতক।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনসহ ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত অপুর বাবা হাসান মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।