ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ১৭

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল থেকে এক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমুরবুনিয়া গ্রামের রমণী বিশ্বাস বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারভুক্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এদিকে একই গ্রামের আবদুস সত্তার হাওলাদার বাদী হয়ে ধর্ম অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন সেই মামলায় পুলিশের হেফাজতে থাকা তরুণকে (২৩) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আমুরবুনিয়া গ্রামে হিন্দুধর্মাবলম্বী তরুণের বাড়ি ভাঙচুর ও হামলা মামলায় পুলিশ এজাহারভুক্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে পৃথক মামলায় ওই তরুণকেও গ্রেপ্তার করা হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাড়ি ভাঙচুর ও হামলা মামলায় পুলিশ এজাহারভুক্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে পৃথক মামলায় ওই তরুণকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

হামলার শিকার পরিবারের খোঁজ নিতে আজ বিকেলে বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ আমিরুল আলম, মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ই আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমুরবুনিয়া গ্রামে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা কেউই পার পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

হামলার ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙা ঘর মেরামত চলছে। ওই তরুণের চাচা বলেন, এই হামলার ঘটনা তাঁদের খুব কষ্ট দিয়েছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।