সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় ট্রলারডুবিতে একই গ্রামের ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ মঙ্গলবার। পৃথক শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিনটি স্মরণ করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা।
২০১০ সালের ৮ জুন সকালে উপজেলার সেলবরষ ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী শৈলচাপড়া হাওরে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনাটি ঘটে। এতে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুড়ি গ্রামের শিশু, নারী, শিক্ষার্থীসহ ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। তাদের মধ্যে ছিল বাদশাগঞ্জ পাবলিক হাইস্কুলের (বর্তমানে বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়) তিনজন ও বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী।
ওই দুটি বিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৃথক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বাদশাগঞ্জ বাজারের স্থানীয় তিনটি মসজিদে বাদ জোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
একই সময়ে বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে শোকসভা হয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক আবদুর নূর, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
ট্রলারডুবিতে প্রাণ হারানো জরিয়া আক্তারের বড় ভাই বালিজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মারুফ আলম (৩৩) বলেন, দেখতে দেখতে ১১ বছর চলে গেল। বছর ঘুরে দিনটি এলেই পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁরা কিছুতেই ওই দিনটির কথা ভুলতে পারেন না।