কালবৈশাখীতে আজ বুধবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া পাঁচটি ফেরি ঝড়ের কবলে পড়ে। দুটি ফেরি দিক হারিয়ে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর ঘাটে পৌঁছায়। ঝড়ে র্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৌলতদিয়ার ৩ ও ৭ নম্বর ঘাট বন্ধ আছে। ঘাটে শত শত গাড়ি আটকা পড়ায় দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
ঘাটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আজ সকাল সোয়া ছয়টার দিকে হঠাৎ করে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। চারদিক কালো মেঘে ঢাকা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি।
এর আগে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো (বড়) ফেরি কেরামত আলী, খানজাহান আলী, কে–টাইপ (মাঝারি) ফেরি ঢাকা ও ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি হাসনাহেনা, রজনীগন্ধাসহ ছোট-বড় মিলে পাঁচটি ফেরি ঝড়ের কবলে পড়ে। অধিকাংশ ফেরি অনেক সময় নিয়ে ধীরগতিতে ঘাটে পৌঁছায়। এর মধ্যে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বড় ও একটি ছোট ফেরি দিক হারিয়ে ফেলে। ফেরি দুটি প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে গিয়ে ভেড়ে।
এদিকে ঝড়ের কারণে র্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৌলতদিয়ার ৩ ও ৭ নম্বর ঘাট দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে দৌলতদিয়ার ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট দুটি চালু আছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিটি ঘাটের সংযোগ সড়ক অতিমাত্রায় পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। এ কারণে ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা ব্যাহত হচ্ছে। ঝড়ের কারণে একটি ঘাট বন্ধ ও ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় যানবাহনের প্রায় ছয় কিলোমিটার লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সারি আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী হলো।
সকাল ছয়টার পর থেকে সাতটা পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির কারণে পৌনে এক ঘণ্টার মতো ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর আগে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া তিনটি ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দুটি ফেরি ঝড়ের কবলে পড়ে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘাট দুটির সংস্কারকাজ চলছে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এবং দুটি ঘাট বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে।