দেলদুয়ারে স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর পলাতক স্বামীর লাশ উদ্ধার

হত্যা
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে পুকুর থেকে বানু বেগম (৫০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর ওই নারীর স্বামী আফাজ মিয়ার (৫৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বানু বেগম নিহতের ঘটনায় দায়ের হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আফাজ মিয়া।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আলীম বলেন, আজ সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন উপজেলার আগ এলাসিন গ্রামে আফাজ মিয়ার বাড়ির পেছনে একটি বাঁশঝাড়ে আফাজের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

প্রায় আট মাস আগে বানু বেগমের সঙ্গে আফাজ মিয়ার বিয়ে হয়। এটি বানু বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে। বানু বেগমের প্রথম ঘরে ছয় সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাঁদের মধ্যে কলহ শুরু হয়।

আট মাস আগে বানু বেগমের সঙ্গে আফাজ মিয়ার বিয়ে হয়। এটি বানু বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে। বানু বেগমের প্রথম ঘরে ছয় সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাঁদের মধ্যে কলহ শুরু হয়।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেলদুয়ারের আটিয়া গ্রামে একটি বৃদ্ধাশ্রমে আফাজ মিয়া ও তাঁর স্ত্রী বানু বেগম পরিচারক হিসেবে কাজ করতেন। গত শুক্রবার ওই বৃদ্ধাশ্রমের পুকুর থেকে বানু বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আফাজ মিয়া আত্মগোপন করেন।

এ ঘটনায় বানু বেগমের আগের ঘরের বড় মেয়ের জামাই আল আমিন বাদী হয়ে আফাজ মিয়াকে আসামি করে দেলদুয়ার থানায় শুক্রবার হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় আফাজ উদ্দিন তাঁর স্ত্রী বানু বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পুকুরে ফেলে রাখেন।

ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, আফাজ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।