মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
‘রাত সোয়া ৮টার দিকে এশার নামাজ শুরু হয়। জামাতের নামাজ শেষ হয়। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনি। ওপর থেকে আমিসহ তিনজন গিয়ে দেখি মসজিদের ভেতরে মানুষের শরীরে আগুন জ্বলছে। মসজিদের থাই গ্লাস ভেঙে দিলে লোকজন হুড়োহুড়ি করে বের হন। আগুনের তাপে অনেকের শরীর ঝলসে গেছে।’ আমিনুল ইসলাম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী এভাবেই শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি ওই মসজিদের পাশের মেসের ভাড়াটিয়া।
এই ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. নাঈম বলেন, এশার নামাজ পড়ে তিন বন্ধু তাড়াতাড়ি বের হয়ে যান। এ সময় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ অনেক মুসল্লি ছিলেন। তাঁরা মসজিদের পেছনে যাওয়ার এক মিনিটের মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান। দৌড়ে গিয়ে দেখতে পান, ভেতরে মানুষের শরীরে আগুন জ্বলছে।
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা গাড়িচালক ইয়ামিন বলেন, মসজিদের দুই-তিনটি জায়গায় টাইলসের ভেতর থেকে গ্যাস বের হতো। প্রত্যক্ষদর্শী এক পোশাককর্মী মোহাম্মদ বাপ্পির ভাষ্য, ‘হঠাৎ করে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা দেখলাম।’
পোশাককর্মী রাসেল বলেন, ‘নামাজ পড়ার সময় ইমাম সাহেব সুরা ফাতেহা শুরু করার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। লাইন চেঞ্জ করে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। তখন নামাজ শেষ করেন মুসল্লিরা। ফরজ নামাজের পর মোনাজাত শেষে কেউ সুন্নত ও বিতর নামাজ আদায় করছিলেন। আমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার এক মিনিটের মধ্যে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। আজ সকালে ওই ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ব্যক্তিদের বেশির ভাগের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাঁদের বেশির ভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক।