দূর সম্পর্কের মামার সঙ্গে দুষ্টুমি করছিল পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি। বিরক্ত হয়ে ওই মামা শিশুটির দুই হাত একটি গরুর বাছুরের দড়ির সঙ্গে বেঁধে দেন। হঠাৎই শিশুটিকে টেনেহিঁচড়ে ছুটতে শুরু করে বাছুরটি। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয় শিশুটির।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মিয়ারগাঁও গ্রামে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে শিশুটিকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দূর সম্পর্কের ওই মামার নাম শওকত আলী খন্দকার (৫৫)। তিনি মিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত রওশন আলী খন্দকারের ছেলে। ঘটনার পর থেকে শওকত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শিশু নাজমুল খন্দকারের বাবা আলম মিয়া দুই বছর আগে মারা যান। এরপর থেকেই শিশুটিকে নিয়ে তার মা মিয়ারগাঁও গ্রামের বাবার বাড়িতে থাকেন। তিনি স্থানীয় একটি বস্ত্র কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি শুক্রবার বিকেলে কারখানায় ছিলেন। তখন নাজমুল বাড়ির পাশের সড়কে যায়।
সেখানে শওকত আলীর সঙ্গে দুষ্টুমিতে জড়ায়। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে তিনি নাজমুলের দুই হাত একটি বাছুরের দড়ির সঙ্গে বেঁধে দেন। হঠাৎ বাছুরটি ছুটতে শুরু করে। শিশুটি সড়কে পড়ে যায়। ওই অবস্থায় তাকে টানতে টানতে পিচঢালা সড়কের ওপর দিয়ে চলতে শুরু করে বাছুরটি। এতে শিশুটির পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়।
প্রথমে গ্রাম্য একজন চিকিৎসক শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। শনিবার সকালে তাকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির খালা সুমি আক্তার জানান, ‘শিশুরা তো একটু দুষ্টুমি করেই। তাই বলে একটা শিশুর সঙ্গে কেউ এ রকম করতে পারেন? আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। শওকত আলীকে আটকের চেষ্টা চলছে।