সুনামগঞ্জে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে রাসিক মিয়া (২৯) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসিক মিয়া দামোধরতপী গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ রাসিক মিয়ার দুলাভাই নাইজুল হকসহ একই পরিবারের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামোধরতপী গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার একাধিক স্ত্রী আছেন। তাঁর সম্পদ ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে সন্তানদের মধ্যে বিরোধ ছিল। রাসিক মিয়ার সৎমায়ের ঘরের বড় বোন ছামিনা বেগমকে বিয়ে করেছেন ছাতক উপজেলার খারাই গ্রামের জমসিদ আলীর ছেলে নাইজুল হক (৪০)। গতকাল সন্ধ্যায় সম্পত্তি নিয়ে রাসিক মিয়া ও ছামিনা বেগমের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাসিক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করেন নাইজুল হক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে রাসিক মিয়া মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই নাসির মিয়া বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর আগে গতকাল রাতে নাইজুল হক, তাঁর স্ত্রী ছামিনা বেগম, শাশুড়ি নুরুননেছা ও শ্যালিকা রিনা বেগমকে আটক করে পুলিশ। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।