কটিয়াদী পৌর নির্বাচন

দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তড়িয়াকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তড়িয়াকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।

ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করে নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কিছুক্ষণ ভোট বন্ধ থাকার পর আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীর তোফাজ্জল হোসেন খান। তিনি বলেন, নৌকার সমর্থকেরা সকাল থেকে সব কটি কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ধানের শীষের ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি নির্বাচন সরে দাঁড়ালেন।

দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার তড়িয়াকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সালমা আনিকা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আবার ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে একদল উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি ওই কেন্দ্রের চারটি বুথে হামলা চালান। তাঁরা সব ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনার সূত্র ধরে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রণবীর সিং ও আবুল কাশেমের সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্রের ভেতরে সংঘর্ষ হয়। বইঠা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরেই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের প্রথম ১০ মিনিট পুলিশ নীরব ছিল। পরে পুলিশ ও র‌্যাব যৌথভাবে হামলাকারীদের প্রতিহত করে। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা দ্রুত আইনশৃঙ্খল বাহিনীকে জানানো হলে তারা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
২ নম্বর বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সবুর খান বলেন, ভোট চলছিল। হঠাৎ একদল লোক এসে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।