মাত্র তিনটি খুঁটি স্থাপন করলেই তাদের ঘরগুলো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হতো। কিন্তু দুই বছর ধরে বিদ্যুতের কার্যালয়ে ঘুরেও কোনো ফল পায়নি তারা। এ ঘটনা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের। ওই ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ৩৫টি পরিবার বিদ্যুৎ না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তারা দ্রুত বিদ্যুৎ–সংযোগ পেতে ৭ মার্চ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছি।’
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সব গ্রামে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে কুবাজপুর আহমেদাবাদ ও আছিমপুর গ্রামের ৩৫ পরিবারের ঘরে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। বিদ্যুৎ–সংযোগ পেতে দুই বছর ধরে উপজেলার আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কার্যালয়ে ঘুরেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ–সংযোগ পায়নি।
আছিমপুর গ্রামের প্রবীণ আবদুল ওয়াহিদ বলেন, ‘দুই বছর আগে আমাদের আশপাশের গ্রামে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হলেও আমরা ২০ পরিবার পাইনি। আমরা স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছি না।’
কুবাজপুর আহমেদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা কবিন্দ্র দাস বলেন, ‘যেখানে সংযোগ আছে, সেখান থেকে মাত্র তিনটি খুঁটি হলেই আমরা ১৫ পরিবার বিদ্যুৎ–সংযোগ পেয়ে যাই। ট্রান্সফরমার,খুঁটি, তার ও মিটার না থাকার অজুহাতে দুই বছর ধরে আমাদের বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইউনিয়নের দুই গ্রামের ৩০–৩৫টি পরিবার বিদ্যুৎ–সংযোগ না থাকায় বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত। তাদের সংযোগ দিতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে সুপারিশ করেছি।’
জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আবুল আজাদ বলেন, ‘রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর আহমেদাবাদ ও আছিমপুরে নতুন দুটি বসতি গড়ে উঠেছে। এসব এলাকায় সংযোগ দিতে বিদ্যুতের যেসব উপকরণ প্রয়োজন, তার জন্য আমরা আবেদন করেছি। মালামাল পাওয়া গেলে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হবে।’