গ্রামীণ অবকাঠামো

দুই পাশে মাছের ঘের, সড়ক যেন নালা

সড়কের দুই পাশে ঘের। বৃষ্টি হলেই জমে থাকে পানি। সম্প্রতি মনিরামপুরের খাল বাটবিলা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ইট বিছানো তিন কিলোমিটার সড়ক। এর এক কিলোমিটারের দুই পাশে মাছের ঘেরের উঁচু ভেড়ি। বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে যায়। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। এটি যশোরের গড়ভাঙ্গা–খাল বাটবিলা সড়ক।

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় খেজুর গুড় বেচাকেনার জন্য সুপরিচিত গড়ভাঙ্গা বাজার। এর উত্তর দিক দিয়ে একটি রাস্তা চলে গেছে পাশের মনিরামপুর উপজেলায়। এ সড়কের খাল বাটবিলা প্রান্তের এক কিলোমিটারের দুই পাশে মাছের ঘেরের উঁচু ভেড়ি। সেখানে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।

কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য সংযোগ সড়কটিতে ইট বিছানো হয়। এরপর থেকে এ রাস্তায় লোকজনের চলাচল বাড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮–১০ বছর ধরে রাস্তাটির দুই পাশে মাছের ঘের গড়ে উঠেছে। এরপর থেকে চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে।

ওই রাস্তা দিয়ে আসা গড়ভাঙ্গা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিন তিনি যশোরে শ্রমিকের কাজ করতে যান। বাড়ি থেকে খাল বাটবিলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার হেঁটে ও ভ্যানে করে চিনাটোলা বাজারে যান। সেখান থেকে বাসে যশোরে। প্রতিদিন এভাবে যাতায়াতে কষ্ট করতে হয়।

মনিরামপুর উপজেলার খাল বাটবিলা গ্রামের অজিত ঢালি বলেন, তাঁরা মনিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা হলেও সব কাজে কেশবপুরেই যান। বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য কেশবপুরেই যেতে হয়।

এ গ্রামের কয়েকজন বলেন, গড়ভাঙ্গা বাজার হয়ে কেশবপুর যেতে পাঁচ মাইল রাস্তা। সেই রাস্তা চিনাটোলা বাজার হয়ে ঘুরে যেতে হলে আট মাইল হয়।

ইউএনও এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, মানুষের দুর্ভোগের কারণে ঘেরমালিক মিনার হোসেনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, মনিরামপুর ইউএনও একইভাবে তাঁর এলাকার মাছের ঘেরমালিকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

ঘেরমালিক মিনার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।